Home News শিশুমেলা- ২০১২
E-mail Print PDF

গত ২৬ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে শিশুমেলা- ২০১২ অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় উপস্থিত ছিলেন নয়াপাড়া ক্যাম্প ইন চার্জ জালাল উদ্দীন, UNHCR প্রোটেকশন অফিসার লরেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম, রিইব এর নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা এবং সহকারী  পরিচালক সুরাইয়া বেগম।

রিইবের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা মেলার উদ্ভোধন করেন। এরপর ছোট ছোট শিশুরা রকমারি পরিবেশনা নিয়ে হাজির হয়। তারা নাচ, গান, ছড়া, গলপ, ছবি আঁকা প্রভৃতির মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখে।

 

শিক্ষক ইসমত আরা শরণার্থীদের পক্ষে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন রিইব  শরনার্থী শিবিরের অবস্থা উন্নয়নে অবদান রেখেছে। পূর্বে শিশুরা খারাপ ভাষা শিখতো, এখন তারা কবিতা, গান, ছড়া শিখছে। তিনি শিশুদের কাজলী কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য মায়েদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

গণগবেষনা দলের একজন সদস্য গণগবেষনার মাধ্যমে তারা কিভাবে উপকৃত হচ্ছেন সে বিষয়ে সবাইকে অবহিত করেন। তিনি বলেন গণগবেষণার কারনে তাদের আত্মবল ও আত্মসম্মান আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্যাম্প ম্যানেজম্যানট কমিটির চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন ‘আজকের দিনটি আনন্দময় দিনগুলির একটি। রিইব কাজ প্রদানের মাধ্যমে শরণার্থীদের অলস সময়গুলোকে  কর্মমুখর করেছে।’ তিনি পিতামাতাদের তাদের সন্তানদের আরও বেশী করে কাজলী কেন্দ্রে পাঠানোর আহবান জানান।

UNHCR এর প্রতিনিধি লরেট খুব অলপ সময়ে এরকম একটি অসাধারণ কাজ সম্পাদনের জন্য রিইবকে অভিনন্দন জানান। তিনি জানান যে তাদের মিটিংয়ে এটি বেরিয়ে এসেছে যে শরণার্থী শিবিরে কর্মরত এনজিওগুলোর মধ্যে রিইব সবচেয়ে ভালো কাজ করছে। তিনি কাজলী সেন্টারে আসার জন্য বাচ্চাদের এবং পিতামাতাদের ধন্যবাদ জানান।

 

প্রোফেসর মইনুল ইসলাম  চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য প্রদান করে শরণার্থীদের কাছাকাছি পৌছে যেতে সমর্থ হন। তিনি শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং  মাতৃভূমিতে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত বাচ্চাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি নীলফামারী ভিক্ষুক পাড়ার উদহারণ প্রদান করেন যারা কাজলী শিক্ষাকেন্দ্রের মধ্য দিয়ে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া শেখানোর স্বপ্ন দেখছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, প্রফেসর বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর তার বক্তব্যে বলেন শিশুদের এইসব মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দেখে তিনি তার শৈশবে ফিরে গিয়েছেন। তিনি শিশু মেলাকে শিক্ষার আলো হিসেবে চিহ্নিত করেন।অনুষ্ঠান শেষে শরণার্থীদের মধ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় স্থানপ্রাপ্ত দুজনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে শিশুমেলা- ২০১২ অনুষ্ঠিত হয় ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে। অনুষ্ঠান শুরু হয় মেলায় আগত  বিশিষ্ট অতিথিদের ক্যাপ পরানোর মধ্য দিয়ে। মেলায় ্উপস্থিত ছিলেন নয়াপাড়া ক্যাম্প ইন চার্জ কামরুজ্জামান, টঘঐঈজ প্রাটেকশন অফিসার লরেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর, রিইব এর নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা এবং সহকারী পরিচালক সুরাইয়া বেগম।

এরপর, রিবের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মেলার উদ্ভোধন করেন। তিনি বলেন, শিশুরা কতদূর অগ্রসর হয়েছে, আজকে তা দেখার দিন। এরপর ছোট ছোট শিশুরা রকমারি পরিবেশনা নিয়ে হাজির হয়। তারা নাচ, গান, ছড়া, গলপ, নাটক, ছবি আঁকা প্রভৃতির মাধ্যমে দর্শকদের আনন্দ প্রদান করে। পাশাপাশি, তারা পকেট কার্ড ও পকেট বোর্ডের ব্যবহার দেখিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে।

জমিলা বেগম শিক্ষকাদের পক্ষে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। একজন এনিমেটর  বলেন, “রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কেন্দ্র করে প্রকাশিত নিউজলেটারের মধ্য দিয়ে তারা তাদের আনন্দ-বেদনা তুলে ধরতে পারছে যা পাঠকদের কাছে তাদের সক্ষমতা প্রমাণে সহায়তা করছে।পার সদস্যদের  পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আবু। তিনি বলেন তারা জাতীয়তার অধিকারের পাশাপাশি তাদের শিক্ষার অধিকার থেকেও বঞ্চিত।

UNHCR প্রাটেকশন অফিসার লরেট এর অনুপ্রেরনায় শিশুরা তাদের পিতামাতা এবং শিক্ষিকাদের ধন্যবাদ জানায়। তিনি রিইবকে অসাধারণ একটি কাজ সম্পাদনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি পিতামাতাদের যারা এখনো তাদের সন্তানদের কাজলী সেন্টারে পাঠায়নি , তাদের সন্তানদের কাজলী সেন্টারে অন্তর্ভুক্ত করতে আহবান জানান।

 

সহকারী নির্বাহী পরিচালক সুরাইয়া বেগম ‘আমরা করবো জয়’ গানটির মধ্য দিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি শিশুদের পরিবেশনা দেখে আনন্দিত হওয়ার অনুভ’তি ব্যক্ত করেন।তিনি ‘হাট্টিমাটিম টিম’ গানটির মধ্য দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

প্রোফেসর বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর তার বক্তব্যে শরণার্থীদের শুভকামনা জানান। অনুষ্ঠানের এইপর্যায়ে শরণার্থীদের মধ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 

News & Activities

Exceptional Centre

Visitors Statistics

Visits [+/-]
All visits
Since 8th March, 2010 1 620 233